,

কিবরিয়া হত্যা মামলায় আরেক সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ

জুয়েল চৌধুরী : সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় আরেক সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। গতকাল রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন তৎকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বর্তমানে ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস।
আদালতের বিচারক বিচারক মো. শাহাদৎ হোসেন প্রামাণিক তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এ নিয়ে দেড় যুগে মামলায় ৪৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, এদিন দ্রুত বিচার দায়রা ১১/২০০৬ হত্যা ও দ্রুত বিচার ২৩/২০০৫ বিস্ফোরক মামলায় সাক্ষী হয়। সাক্ষ্যগ্রহণকালে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও ৩ জঙ্গি ব্যতিত সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র জিকে গৌছসহ অন্য আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে বিচারক আগমী ১৯ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। এর আগে ১৫ জানুয়ারি মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ায় ফের সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে যায়।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে একটি জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন কিবরিয়া। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ওই ঘটনায় কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত হন। আহত হন আরও ৭০ জন। ঘটনার পরদিন হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, মামলা দুটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালে ১৮ মার্চ শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাইউমসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এ অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন করে বাদীপক্ষ। পরে মামলার পুনর্তদন্তের পর ২০১১ সালের ২০ জুন আসামির সংখ্যা ১৬ বাড়িয়ে ২৬ জনের নামে দ্বিতীয় দফা অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এটি নিয়েও আপত্তি জানায় নিহত ব্যক্তির পরিবার।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এতে নতুন করে লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা ও খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। পরে ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
তবে দেড় যুগেও কিবরিয়া হত্যা মামলার বিচারকাজ শেষ হয়নি। নিয়মিত সাক্ষী হাজির না হওয়া, বার বার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পেছানো কারণে বিচারকাজ প্রলম্বিত হয়েছে। এমনটি বলেছেন সরকারি কৌঁসুলিরা।
তারা বলছেন, অনেক সাক্ষী মারা যাওয়া, সাক্ষী হিসেবে থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরে চলে যাওয়াসহ নানা কারণে সাক্ষীরা ধার্য তারিখে সাক্ষ্য দিতে না আসায় মামলার বিচারকাজ শেষ হচ্ছে না।


     এই বিভাগের আরো খবর